সিলেট নগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতাকে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে ২২ দিন জেলে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে মেয়েটিকে অন্য এলাকায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

মঙ্গলবার র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক মো. মমিনুল হক ১১নং সেক্টরের স্বেচ্ছাসেবক আবদুস সালাম (৪০) জানান, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় জোটের সভাপতি মো.

তিনি আরও বলেন, “অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং সালামকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে।”

এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানায় সালাম ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের মা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সুইচার্স বার্কার ইউনিয়নের সভাপতি ওই ছাত্রীকে ২২ দিন নিজ বাসভবনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

প্রতিবেশী রেখা বেগম তাকে চাকরি খুঁজতে সাহায্য করার জন্য তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে গত ৭ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি তাকে আটক করে।

ভিকটিমের পরিবার গ্রাম থেকে ফিরে এসে তার বাড়িতে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরিবার পুলিশ ডাকার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিবেশী রেখা তাদের ওই ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যায়।

প্রথম দিন মেয়ের পরিবারের কাছে স্বীকার করেননি সালাম। পরের দিন, পরিবার আবার বাড়িতে আসে এবং লোকটি অবশেষে তার অপরাধ স্বীকার করে। মেয়েটিকে তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে যায়।

তিন দিন পর, লোকটি মেয়েটিকে অপহরণ করে এবং তাকে পার্শ্ববর্তী মুলোভিজ্জার জেলার একটি জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে তাকে সালাম ও তার সহযোগীরা গণধর্ষণ করে।

কোতয়ালী মডেল থানার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন বলেন, “সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং সে এখন তার পরিবারের সাথে আছে।”