ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরার ৬০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

মো. মাজহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় রেমালেরে সাতক্ষীরা উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে প্রায় ৬০০ সম্পূর্ণ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।


আরও পড়ুন: নিরাপদ বাতাস সহনীয়


আরও জোয়ারের পানিচেতে বেড়িবাঁধ উপাধি এবং প্রবল বর্ষণে ২ শতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় সহ জেলা জেলায় ৫৭৫টি প্রাকৃতিক ঘরবাড়ি ধসে যাওয়া তথ্য পাওয়া গেছে।


অপরদিকে বৃষ্টির পানি তোপে বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আশাশুনির প্রায় ২০০টি পরিবার।


জানা গেছে, সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জের প্রত্যাশা, কলারোয়ার সরকাটি আশা, পুর আশা, তালার ও গ্রামীণ প্রান্তিকের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছগাছালি নির্বাচনী প্রচার সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে।


পরে বিভিন্ন স্বচ্ছাসেবী সংস্থা, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে বসতে বসতে ও ডালপালা অপসারণ করে জনতায়াত ব্যবস্থা করা হয়।


আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টা পর ফেরিচার শুরু


এর আগে মার্চ (২৬ মে) রাত ৯টার ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় অঞ্চলের মূল ভূখন্ডে হ্যানে। এ সময় সুন্দরবন সংলগ্ন নদনদীতে ছিল ভাটার প্রবাহ। যার কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের সমর্থনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।


শ্যাম নগর বিএনপি গাবুরা সদস্যদের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান বলেন, পার্টির মতো সোমবারও (২৭ মে) সাতক্ষীরা উপকূলে ঝুল হয়। উপকূলের নদনদীর নক্ক্ত পানি মিঠা পানি পুকুরে খুঁজে বার হাজার মানুষের যোগ্য জলপথ ধরে রাখা হয়েছে।


ঝড়বৃষ্টি নির্বাচনে আতঙ্ক কাটেনি সাতক্ষীরা উপকূল মানুষের। তবে কী ভাবে ভোটক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এখনও পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরুপণ করতে পারে।


আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ৫০সে।মি ওপরে মুহুরী পানি পানি


গাবুরা অধিবেশনের সদস্য মাসুদুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপলূলে শক্তিশালী তাণ্ডব আমার মনের ওপর এখন ঝড় তুলেছে। আমার সদস্যদের দল শতাধিক বাড়িঘর পরীক্ষা হয়েছে।


প্রবলবর্ণে অর্ধশ মৎস্যঘের ভেসে গেছে। শত শত গাছ উপড়ে। বাঁধা না জোটের পাশের পাশের বাঁধে ছাপিয়ে পানি করেছে। পরিবেশে বাঁধাগুলো কার্যকরী হয়ে উঠেছে।


আশাশুনির প্রকল্প পরিচালক (পিআইও) মো. সোহাগ খান জানান, স্বাধীনতা খোল পেটুয়া ও কপোতাক্ষ পানি উপচে ওকলা এলাকা রিং বাঁধি চালক ২০০ পরিবার পানিবন্দি ক্ষমতা হয়েছে।


আরও পড়ুন: আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা


গত আইলা ও আম্ফানের পর থেকে পরিবারগুলো এখানে বসবাস করে। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ৩৫ রাজনৈতিক সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। কৃষি চাষও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


আশাশুনির হরিষখালী, হাজরাখালী, চুইবাড়ি, শুভদ্রাটি, রুইয়ের বিল, নানা, বিছট এলাকা বেড়িবাঁধগুলো উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।


সাতক্ষীরা পানি উন্নয়নবোর্ড বিভাগ-১-এর দিনদিন প্রকৌশলী সালিস জানান, বেবাধের পয়েন্টেরাত কাজ করা হয়েছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত অগ্রাহ্য হয়নি।


শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বড় ধরনের নজিবুল আলম বলেন, ঘূর্ণি ক্ষয় হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যে তথ্য বিশ্লেষণ করতে দেখা যাচ্ছে, শ্যামনগর গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া সহ ১২টি ইউনিয়নে ৫৪১টি সম্পূর্ণ বাড়িঘর শান্তি হয়েছে।


আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের আহ্বান


এর মধ্যে ৯৩টি সম্পূর্ণ এবং ৪৪৮টি আংশিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রবল জোয়ার পানি পানি ছাপিয়ে পাশের পাশে লোকালয়েও বাধার খবর পেতে। তবে বছরের টানা বরণে কিছু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির এখনই নির্বাচন করা সম্ভব না।


তিনি শ্যাম নগর জানান, ১২টি ইউনিয়ন ১লক্ষ ৫৭ ও ৬৮২ জন মানুষ এ দুর্যোগের শিকার হন।


সান নিউজ/এনজে

উৎস লিঙ্ক