দিনপুরে ৩৮ দিন ধরেনকলনবিশদের কর্মবিরতি, মানুষেরভোগান্তি

দিনাপুর সদরের দাইনুর সাদেক আলী গত ২৫ দিন ধরে জমির দলিলের একটি সার্টিফাইড কপি জেলা সাব-রেজিস্টার উত্তর ধরনা উত্তর দিন ১৮ দূর থেকে সাব-রেজিস্টারকার্যালয়েসেনকলনাপেয়ে আবার বিকালে ফিরছেন চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ৩৮ দিন ধরে নকলনবিশরা কর্মবিরতি পালন করছেন নতুন দল পোর্টালনসহ সব ধরনের বন্ধ রয়েছে দেবক আলীর মতো সব সাধারন প্রকাশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল দিনাপুর সাব-রেজিস্ট্রার সামনের কথা হয় সাদেকআলীরসঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকেবলেন, ‘জমিরদালি নকলের ২৫ দিন ধরে এই পথ চলার জন্য। টাকা-পয়সা খরচ করেও হয়রানির শিকার। এখানেরকার্যক্রমভালোনা, অন্য দিকেঅবস্থা। যারা নকল সমাধান তারা বলে, আমরা কী, আমরা তো? অফিস বলতে আমরা কাজ শুরু করি কিন্তু অফিসও না, তারাও কাজ করছেন ‘

শুধুসাদেকআলীন, একই অস্থায়ী সেবাগ্রহীতার। রাজ ১৩টি সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জমির দলিলের নকল চিত্রন না সেবাগ্রহীতারা। কারণ গত ১৯ অক্টোবর থেকে চাকরি জাতীয়করণের নকলনবিশরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহর (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশনেরকেন্দ্রিকমিত্র নির্দেশে এ পালন করছেন তারা ভোগান্তি যাত্রী সাধারণ মানুষ।

মানুষেরভোগান্তি

সকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা সাব-রেজিস্ট্রাকার্যালয়ঘুরেদেখাযায়, জমি বেচাকেনার জন্য এবং দলিলের নকল ভিড়ের জন্য আপনি সাধারণ মানুষ চেয়ারে মুক্তিযোদ্ধা আবার কেউ প্রতিবাদ করে অবস্থান করছেন কেউ বলছেন নকলনবিশদের সঙ্গে, তাই কাজটা করা হয়। প্রশাসনের দোতলাতেও একই অবস্থা। মানুষআসছেন, ঘুরছেন; কারণ নতুন দল পোর্টাল সকল প্রকার সেবা বন্ধ নকলনবিশরাবলে, অপেক্ষা করতে।

এদিন গ্রাম সাব-রেজি স্ট্রার আসান সদর সুন্দরবন গঠন আব্দুল হাকিম। গত ২৮ দিন ধরে ধরেন দলিল নকলের জন্য। ভোগান্তিরকথাজানিয়েহাকিমবলেন, ‘আমার একের ৭৮ শতক জমির একটি আলোচনার জন্য দলিলের নকল প্রয়োজন যদি সঠিক জিনিষের মধ্যে এই কপি না পাই তাহলে বোঝায় হেরে যাবো। সেইসঙ্গে আমি, আমারপরিবার, আমারভাইয়ের পরিবার সমস্যায় পড়বো বারবার নকলনবিশদের কাছ থেকে বলেছি কিন্তু কাজ হয়েছে। কর্মকর্তাদেরওবলেছি, তারাবলেঅপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নেই তাদের কাজ অন্য কেউ করতে না – দাওয়ার জন্য আমাদের সমস্যা। জেনেছিনা।’

চিরিরবন্দর শান্তি নানিয়া টিকর বন্দর বেলালহোসেনবলেন, ‘অনেকদিন ধরেআন্দোলন করেছেন নকলনবিশরা আমার দলিলের কাজ আছে কিন্তু দলিল পাচ্ছ না মনে হচ্ছে এই ভোগান্তি কেউ নেই। দ্রুত সমাধানের জন্য দায়িত্বশীলদেরকাছেঅনুরোধ করছি।’

একই ভোগান্তির কথা বিরোধিতা নাড়াবাড়ি বাড়ি ওহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি দলিলের নকল নেওয়ার জন্য ১৫ দিন ধরে ঘুরছি। তারাকাজবন্দরেখেছেন, কিন্তু সমস্যাহ করছেন আমাদের কিন্তু শিকারের জন্য মাথাব্যথা নেই নকলনবিশদের আমাদের জিম্মি উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছেন তারা নকলনবিশরা আমাদের জিম্মি করে না অন্যভাবে কাজ করার জন্য দায়িত্বশীলদেরকাছেঅনুরোধ করছি।’

চাকরি জাতীয়করণের দাবি ১৬ হাজার ২৪৬ নকলনবিশের

আন্দোলন নকলনবিশদের দেওয়া তথ্য, আন্দোলন ১৩টি উপজেলা নকলনবিশ এক হাজার ৪০৪ জন তারা পরিষদ জাতীয়করণের দাবিতে কলমবিরতি পালন পালন করছেন।

বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহর অ্যাসোসিয়েশনের (নকলনবিশ)দেওয়াতথ্যমতে, দেশের ৫১৬টি সাব-রেজিস্ট্রার কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন নকলনবিশ চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন পালন করছেন গত ৩৮ দিন ধরে কর্মবিরতি করছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে জেলা সাব-রেজিস্ট্রার বাগানের নকলনবিশ মিনু আক্তার বাংলা ‘পরিবারকিংবাসন্তানদের আমরাবলতেপারিনা, আমাদেরবেতনকতো? কলমের মাধ্যমে আমরা রেকর্ড করছি। কিন্তু আমাদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে না। আমাদেরদাবি এক সময়, অফিস স্থাপন।’

আমার কর্মবিরতির কারণে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে জানানো হচ্ছে নকলনবিশ মনোয়ারা বেগম তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমাদেরও ভোগান্তি পোহাতেহয় আমাদের ভাষা নেই মূল্যায়ন নেই। বিশ্বজনে আমরা বেতনভুক্ত, কিন্তু আমরা যাকে আমরাইজানি এক পাতা নকলিলে ২৪ টাকা পাই, আর সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে নেওয়া হয় ৬০ টাকা। ৩৮ দিন ধরে পালন পালন করছে কেউ কাছে গণকাছে আমাদাবি, জিউটি ৬০টাকা সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে নেওয়া হয়, তার পুরো আমাদেরটাই দেওয়া। যন্ত্রসরকারেরকোনওক্ষতিহবেনা।’

আমাদের কষ্ট কোন মানুষ না আক্ষেপ করে নকলনবিশ সুরাইয়াআক্তারবলেন, ‘একজন শ্রমিকদিনে ৫০০ টাকা পায়, আমরাও পাই না ৩৮ দিন ধরে আনন্দ শব্দ। চ্যানেলকাছথেকেকোনওসাড়াপাইনি, আশ্বাস পাইনি। যত দিন সাড়া পাবো না, তত দিন কর্মবিরতি নিয়মিত যাবো আমরা।’

সমাধান কি

কর্মবিরতিওমানুষেরভোগান্তিরসমাধানকী জানতে চাইলে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার অ্যাসোসিয়েশনের (নকলনবিশ) দিনপুর সদর প্রশাসনের সহসভাপতি মিনহাজুল আবেদিন বাংলা ত্রিবিত্রীকেবলেন, ‘আমরা ৩৮দিন ধরেপড়েআছি কেউ খোঁজ নিচ্ছে না জাতীয়করণের নীতি আশ্বাসপাকনা গত দিন ধরে আমরা অরণশন করছি অনেক টাকা দেওয়া হয়, যা দিয়ে আমরা আমি না বর্তমান সময়ে এই টাকা দিয়ে আপনার জন্য আমাদের সংবাদ মাধ্যমের অর্থ সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে সরকারীকরণ, সেই অর্থপুরোপুরি আমাদের দেওয়া হলে-পরে বাঁচতে পারবো। টাকারওক্ষতিহবেনা।’

জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়, বেচাকেনার জন্য এবং দলিল নকল ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ

একই অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মমিনুল ইসলাম তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে একাত্ম হওয়া আমরা আমরা পালন করি। বালাম লেখার মাধ্যমে রেকর্ডের ভিতরেকরি রেকর্ড তৈরি হয়, রায়লিটি তৈরি হয় নকলনবিশ এক সময় মারা যাবে কিন্তু এই রেকর্ড অক্ষয় থাকবে দিন পর্যন্ত নাগরিক রাজস্ব আয় এই নকল কাজকে আরও অগ্রগতি করা, স্বচ্ছতাও ব্যক্তিগতদিহিতা করতে আমাদের অবস্থান দেওয়াপ্রয়োজন। গণকাছে আবেদন, আমাদেরবিষয়ক গুরুত্ব নির্দেশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো।’

অ্যাসোসিয়েশনের সদর ব্যাংকার রনজিৎ কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা হবে, স্কুলভুক্ত করা হবে এই আশ্বাসে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সমাধান হয়নি জীবনপান করছি ৩৮দিন চলছে। এখনওকোনওআশ্বাসপাইনি আমরা।’

রেজিস্ট্রার বললেন অপেক্ষা করা ছাড়া দেখতে করতে

নকলনবিশরা কর্মবিরতি পালন করা ৩৮ দিন ধরে নতুন দল পোর্টসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ তিনি জানান, দিনপুর প্রশাসন রেজিস্টারসাজেদুলহক। বাংলাবিট্রিউনকেতিনিবলেন,’নকলনবিশদের কর্মবিরতির কারণে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে তাদের কারণে আমরা কাজ করতে পারি না। আপাতত সাধারণভাবে অপেক্ষা করা ছাড়া বাকি থাকতে কোন আদালত থেকে আমাদের কাছে নেই বালামগুলো তলবকরছেন, ইনডেক্সবাইচাইছেন, আমরাসেগুলো নকলনবিশদের কর্মবিরতির কথা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাজান। তাদের কিছু করতে হবে।’



উৎস লিঙ্ক