সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বহালের দাবিতে ৩ জুলাই বুধবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
”>
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বহালের দাবিতে ৩ জুলাই বুধবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
দেড় ঘণ্টা পর বিকেল ৪টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ তুলে নেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামীকাল (৪ জুলাই) আদালতের রায়ে তাদের দাবির প্রতিফলন না হলে তারা তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করবে।
কিছু বিক্ষোভকারী বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা সারা দিন মহাসড়ক অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
অবরোধ উঠে যাওয়ায় মহাসড়কে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও মেধাভিত্তিক ভর্তি বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে জাবির শত শত শিক্ষার্থী।
বেলা ৩টার দিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিল করে।
বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
গতকাল জারি করা এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা মহাসড়ক বন্ধ থাকবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকাগামী মহাসড়কের রাস্তায় আটকা পড়ে শত শত নেতাকর্মী ও যানবাহনসহ ঢাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম।
ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
”>
ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
এমপি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। হেমায়তপুরে আমাদের দলীয় কর্মসূচি আছে। আমরা সেই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের আমাদের গাড়ি যেতে দিতে বলেছিলাম কিন্তু তারা অস্বীকৃতি জানায়। তাই, আমাকে অন্য পথ ধরে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে হয়েছিল। এর পরে, আমি হয়তো গাড়িতে করে আমার যাত্রা চালিয়ে যেতে পারব।”
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেলে সাভারের হেমায়তপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: প্রথমত, মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের আইন পুনর্বহাল করা। দ্বিতীয়ত, কোটা পদ্ধতি সংস্কার কমিটি গঠন। তৃতীয় প্রয়োজনীয়তা হল যখন কোটার আসন খালি থাকে, সেগুলি মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হয়। সবশেষে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
”>
ছবি: হাসিব সোহেল/টিবিএস
2018 সালের আগে, 56% সরকারি চাকরি বিভিন্ন কোটার অধীনে সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে ৩০% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ১০% নারী, ১০% অঞ্চল, ৫% সংখ্যালঘু এবং ১% প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ। পরে শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে।
4 অক্টোবর, 2018, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ক্যাটাগরি I ও II সরকারি পদের জন্য বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংশোধনের জন্য একটি নোটিশ জারি করে। তবে সরকার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য কোটা পদ্ধতি বজায় রেখেছে।
গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।
এরপরই কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।