প্রায় 45,000 কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মূল হোতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ছবি: সংগ্রহ
“>
শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ছবি: সংগ্রহ
বেসিক ব্যাংকের পলাতক সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তবে আনুমানিক সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মূল হোতাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
কমিটি জানায়, বাচ্চু দেশে আছেন নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন তা তারা জানেন না। তাই তার অনুপস্থিতিতে বিচার হবে।
রবিবার, দুদক বাচ্চুর বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগপত্র ছাড়িয়েছে, এবার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের ৯৫০ মিলিয়ন টাকা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান টিবিএসকে বলেন, অভিযোগপত্রে বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আদালত অনুমতি দিলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে।
তবে প্রায় ১১ মাস আগে দুদকের দায়ের করা ৫৮টি অভিযোগের মধ্যে বাচ্চুকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি।
এ প্রসঙ্গে দুদক প্রধান খুরশীদ আলম খান বলেন, বাকি ৫৮টি মামলা এখনো আদালতে শুনানি হয়নি এবং আইনি প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।
আইনজীবী যোগ করেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয়ভাবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে কিন্তু তার কোন সন্ধান পায়নি,” আইনজীবী যোগ করেছেন।
৪৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ৫৮টি অভিযোগের পর বাচুর আইনজীবীরা জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করলেও পরে আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকে বাচুর হদিস নির্ণয় করতে পারেনি দুদক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতে হারুজামান টিবিএসকে বলেন, বাচুর সন্দেহের খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব দুদকের। তিনি যদি বিদেশে পালিয়ে যান তাহলে দুদক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে পারে।
নতুন অভিযোগ
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০ দশমিক ২৫ ক্যারেটের একটি জমি কেনার চুক্তি করেন বাচ্চু।
জমির প্রকৃত মূল্য ১১ কোটি টাকা হলেও দলিল বা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বাচ্চু মাত্র ১৫২.৫ মিলিয়ন টাকা পরিশোধ করেন।
দুদকের তথ্যমতে, বাচ্চু রেজিস্ট্রেশনের সময় জমির মূল্য ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার অবমূল্যায়ন করে তার অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেন, এভাবে ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার বেশি কর ফাঁকি দেন।
বাচ্চুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের এটাই প্রথম অভিযোগ। ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন দুদকের ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাচুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, তার ছেলে শেখ রাফায়েল শেখ রাফা হাই ও শেখ সাবিত হাই অনিক এবং হোটেল লে মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদ।