এমপি আজিম হত্যার সঙ্গে স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন শিমুল ভূঁইয়া

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এবং আদালতে দাখিল করা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, বেশ কয়েকজন স্থানীয় এমপি আজিম হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিবি কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, “আমরা নামগুলো পরীক্ষা করছি। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে। সেখান থেকে কোনো সংকেত পেলে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে।”

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে আরও সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

শিমুল ভূঁইয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিবি সূত্র জানায়, স্থানীয় সাবেক মেয়রসহ বেশ কয়েকজন নেতা বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন।

শিমুল ভূঁইয়ার মতে, এমপি আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শিমুলকে দুই কোটি টাকা দিতে হবে বাবুর। খুনের পরও শিমুল বাবুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে।

শনিবার বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। এরপর রোববার তাকে সাত দিনের আটক রাখার আদেশ দেন আদালত।

বাবু এমপি আজিম হত্যা মামলার কথিত মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন ও শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয়।

হত্যার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং 164 ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কলকাতার একটি খালে মাংসের টুকরো আবিষ্কার করেছে। মাংসটি এমপি আনোয়ার আজিমের কিনা তা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, “খুনের ঘটনায় ভারত মামলা করেছে, তার মেয়েও বাংলাদেশে মামলা করেছে। দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলায় সহযোগিতা করছে।”

“ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে, তাই অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা তাদের কর্তব্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে,” যোগ করেন তিনি।