রাম রহিমের কত কী!

গুরুদের নিয়ে আগেও অনেক বিতর্ক, এখনও আছে। কিন্তু বিতর্কের সাথে বিতর্ক নিয়ে এমন সহিংসতা স্বাগতিক ইতিহাসে প্রথম ঘটল প্রশ্ন হরিয়ানায়। যদিও বিরোধিতা কারণে বহুলিংসতার সূত্র রয়েছে দেশটির ইতিহাসের পাতায় পাতায়। তবে একজন ধর্মগুরুর দায়িত্বে সাব্যস্ত নিয়ন্ত্রণ; এমন জিরবিহীন তান্ডবের দৃশ্য দেখল গোটা উপরে মানুষ, বলা বিশ্ববাসীও।

সিনেমায় হিন্দুই গুরুজন বিতর্কিত ধর্ম রাম রহিম সিং ইনসান। আপনার ভিটিও থেকে সংগ্রহ করা।

“>

সিনেমায় হিন্দুই গুরুজন বিতর্কিত ধর্ম রাম রহিম সিং ইনসান। আপনার ভিটিও থেকে সংগ্রহ করা।

উপরে ধর্মগুরুদের নিয়ে অনেক আগেও বিতর্ক, এখনও আছে। কিন্তু বিতর্কের সাথে বিতর্ক নিয়ে এমন সহিংসতা স্বাগতিক ইতিহাসে প্রথম ঘটল প্রশ্ন হরিয়ানায়। যদিও বিরোধিতা কারণে বহুলিংসতার সূত্র রয়েছে দেশটির ইতিহাসের পাতায় পাতায়। তবে একজন ধর্মগুরুর দায়িত্বে সাব্যস্ত নিয়ন্ত্রণ; এমন জিরবিহীন তান্ডবের দৃশ্য দেখল গোটা উপরে মানুষ, বলা বিশ্ববাসীও।

তাই এখনও আমাদের মিডিয়াই শুধু নন আমার বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম উত্তরের পিছিয়ে পড়া দলিত সম্প্রদায়ের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান। ৫০ বছর পুরানো কয়েক হাজার ক্রাউড বর্ণনাও তিনি। তার দলে পাঁচ কোটি ভক্ত রয়েছে।

তারই অনুগামী শিষকে হত্যা করার অভিযোগ যেমন রাম রহিমের বিরুদ্ধে, সেখানে দুই প্রার্থী নিয়ে সংবাদ প্রকাশের 'অপরাধে' একজন সাংবাদিক এমনকি ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান ম্যানেজারকে খুনের অভিযোগ রয়েছে স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে।

ভক্তের ভগবান এবং তান্ডব!

কিন্তু আপনি কি, তিনি যে পাঁচ কোটি ভক্তের কাছে 'ভগবান'। ভগবানের সব কালোই লীলামাত্র।

আর আইনের বৈশিষ্ট্য, তাই এই বিচারের বিচার হবে না। ছেড়ে দিতে হবে তাদের ধর্মগুরুকে। বিচার করা যাবে না। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ রাজস্থানের কিছু অংশ।

কিন্তু ভালো যখন পাঁচ লাখ ভক্তের ভগবানকে ধর্ষক হিসেবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারক সাব্যস্ত করেন, তখন ভক্তরা সংখ্যাটি পড়লেন।

গুরমিতের মোট অনুগামীর মাত্র দশ শতাংশের তান্ডবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি রূপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়েছে গাড়ি, রেল, বাস, বাজার, বাজার, বাড়ি। অশান্ত ভক্তদের তান্ডব রুখতে। এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ছুঁয়েছে। দেখতে থেকে রেলের প্রায় ৪০০ পথ সূত্রচি নিষ্কাশন করেছে।

মধ্যবর্তী গুরুকে বন্দি শক্তি জ্বলছে ভক্তদের হৃদয়। সোমবার (২৮ আগস্ট) অপরাধের সাজা পরের পর কি তবে পবিত্র ভক্তের জ্বলন্ত হৃদয় থেকে বেরোবে, জ্বলবে উত্তর হিরিয়ানা, পাঞ্জাব বা রাজস্থান রাজ্য?

উচ্চতর কেন্দ্রীয় সরকার যদিও পরিস্থিতি সামল দিতে কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করছেন। ভোটের শাসিতঞ্জাব রাজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক পরিস্থিতি সামলে নিতে পারছিল কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে হরিয়ানা রাজ্যের সামনেই দেখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ নরেন্দ্র মোদির ও রাজ্যের হাইকোর্টের নিরাপত্তার উপর ক্ষুব্ধ।

আমার কথা, খবরদির দিকে নরেন্দ্র মো সার্বক্ষণিক নজর রাখতে। রাতই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং নিরাপত্তা নিয়োজিত সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে জরুরী নেতা মো.

উড্ডয়ন সংখ্যায় আদালতে অভিযুক্ত অভিযানের পর অস্ত্র হাতে রহিম সিং-এর সমর্থক মহড়া। ছবি: এএফপি

“>

উড্ডয়ন সংখ্যায় আদালতে অভিযুক্ত অভিযানের পর অস্ত্র হাতে রহিম সিং-এর সমর্থক মহড়া। ছবি: এএফপি

শনিবার (২৬ আগস্ট সংসদ) নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংগিং স্বপক্ষে মিলিত দেশ রাষ্ট্র, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। সেখানে হরিয়ানা রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করে, নিরাপত্তা গাফিলের পিনপয়েন্ট দেখা হয় আগামী সোমবার (২৮ আগস্ট)। সাজা পরবর্তী আলোচনার পর কী গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত দিক নিয়ে আলোচনায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেই দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করেছে।

দৃষ্টিভঙ্গি

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা শীর্ষ নেতা। খবরের খবরের খবরে দিল্লিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই সময়ের মধ্যেই বিপদের সর্বভারতীয় অমিত শাহ অবস্থান নিয়ে অবস্থান নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন লেখক। হরিয়ানা রাজ্য প্রধানমন্ত্রী দিল্লি নেতাদের ডেকে পাঠাতে হয়েছে। ভোটের খবর, হরিয়ানা রাজ্য উচ্চার অভ্যন্তরে খট্টরের বিরুদ্ধে জরালো প্রতিবাদ উঠেছে। পাঞ্জাব মহিলাকেও তা তলব হয়েছে অমিত শাহর দফতরে।

এছাড়াও পড়ুন  একটি আরো নিখুঁত বিবাহের জন্য খুঁজছেন! আয়ারল্যান্ড

মন্ত্রী মহোদয় বলেন, হরিয়ানার ক্ষমতায় ক্ষমতায় রাজনৈতিক স্বঘোষ ধর্মগুরু গুরমিত রামিং রহিম সিংসান বড় ভূমিকায় ছিলেন। অনেক উপরে বড়রা হরিয়ানায় ভোটের আগে তার রাম রহিমের ডেরার ভুয়সী প্রশংসা দেখতে। আমার ব্যক্তিগত সেলফিও রয়েছে তাদের ফেসবুকে। এমনকি খোদ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি নিজেও টুইট করে রাম রহিম সিং ইনসানের প্রশংসা।

আশার মুখ নেতাদের 'প্রিয়ভাজন' মনে করে ডেরা সাচ্চা সৌদার রাম রহিম সিং ইনসানের ভক্তদের রাগাতে চাননি মনোমনহর লাল খট্টর। সে কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা পুলিশের পাঁচকুলায় আইবি বিশেষ আদালতের ভক্তদের জবানবন্দি দিতে পারে, যার খেসারতনি দিতে পারে সম্ভব ও এক হাজার গোলক্ষয়ক্ষতি।

কেন ভক্তরা শান্তিতে উত্তেজিত, কি আছে রাম রহিম সিং ইনসানের মধ্যে?

বিরোধিতাকারী কৈলাশ বর্গই যুদ্ধ করছিলেন, 'রাম রহিম সিংয়ের কাছে যাদু যা তার কাছে না শীর্ষে যাবে না।'

কী এমন যাদু মনে অবশ্যই ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রহিম সিংয়ের ভক্তরা বলতে পারবেন কিন্তু তার জীবনবৃত্তান্ত দেখতে দেখতে কপালে উঠতে পারে।

ডেরা সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পুলিশি একশন। ছবি: এএফপি

“>

ডেরা সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পুলিশি একশন। ছবি: এএফপি

১৯৬৭ সালে ১৫ আগস্ট রাজস্থানের গঙ্গানগরে শ্রীগুরুসমুদিয়া জন্মগ্রহণ করেন গুরমিত রাম রহিম। মাত্র সাত বছর আগের বাড়ি ছেড়ে শিক্ষা ধর্ম এক গুরুর কাছে প্রতিপালিত এবং শিখ ধর্মের দীক্ষিত হতে পারেন। সেখানে শিক্ষা গ্রহণ ১৯৯০ ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে সৌদার নিযুক্ত হন এবং সর্বোত্তম প্রধান হিসাবে হিসাবে নিজেকে প্রচার শুরু করেন। সত্য দলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষই তাকে আমার মনে করতে শুরু করেন। প্রথম দিকে অগ্রগতি না হতে পরবর্তী সময়ে নিজের অবস্থান শুরু করেন। এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন রক্তদান শিন, যৌন বিতর্ক পুনর্বাসন করা, অর্থাভাবে বিরোধিতা করতে না পারার মেয়ে ও ছেলেদের পড়ানোর মূল্য বোঝান। হরিয়ানা পাঞ্জাবে যেখানে খোলা পরিসেবা নেই সেখানে সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়, বাজার ও বাজারও তার অর্থ প্রায় চালাও। বৃক্ষরোপণ নিয়েও রাম রহিমের জন্য বছরই ভোটের জন্য। রক্তদান শিবির ছিল তার ডেরার প্রধান কাজ। ২০০৩ সালে গণমানুষ রক্তদান শিবির করে গরাজবুক অব রেকর্ড-নামিয়েলেরাম রহিম সিং ইনসান। হরিয়ানার সারদায় ৮০০ একর জমির উপর তৈরি কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান করেছেন। সেখানে অর্গ্যানিক মধু ও নুডলস তৈরি হয়। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে তার ডেরা সৌদার প্রায় পাঁচ হাজার ক্যাপ অফিস আছে। আর সেই ক্যাপ অফিসের নথিভুক্ত ভক্তের সংখ্যা পাঁচ। ব্যক্তি বড় ভক্ত-অনুগামী প্রার্থী সমর্থনকারী প্রার্থীর পক্ষে-নেত্রীদের প্রতীকের মধুর 'প্রিয়পাত্র' হতে পেরেছিলেন গুরুমিত। যদিও নিজে আদর্শে বিশ্বাস করতে চান। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকে সমর্থন করা হরিয়ানায় বিজয় জয়লাভ। একই বছর দিল্লি নির্বাচনে ভোটাভুটি রামহিম সিং-এর সমর্থনে সমর্থন জানিয়েছিল। সেখানে জয় হয়েছিল। এমন কি বিহার উন্নয়ন সভায়ও ভোটার হওয়া ভিকিং প্রকাশে গুরমিত রহিম সিং।

রাম রহিমের বিরুদ্ধে পুলিশ ফাউজদারি গ্রুপ রয়েছে। ২০০২-এ সিরসার এক সাংবাদিক রাম চন্দ্র ছত্রপিকে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। একই একই বছরের ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে খুনের অভিযোগ।

রাম রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অভিযোগের অভিযোগ তৎলী নির্দেশ অটলবিহার বাজপেয়িক চিঠি লেখেন তার ডেরার অজ্ঞাত দুই শিষ্যা। শিষ্যারা অভিযোগ করেন, অন্য শিষ্যাদের হরিয়ানার সিরসায় ডেরা চত্বরে কথা বারবার ভোট করেছেন রাম রহিম। ঠিকই নজরে আসে। গণ শীর্ষ শক্তি নির্দেশে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট আইকেরামহিমের বিরুদ্ধে উওরের রাজনৈতিক রুজু করার নির্দেশ দেয়।

২০০২ সিবিআইকে গোপন জবানবন্দিতে একজন শিষ্যা জানান, তিনি ডেরা প্রধানের চেম্বারে ঢোকার পরই প্রথম বন্ধ হয়ে যান। এবং রাম রহিম বড় স্ক্রিনে পার্নোগ্রাফি ছবি দেখছেন তখন। তাকে হাতে পিস্তলও পাস করছিলেন। তাকে বোঝায়। প্রায় তিন ধরে ধরে নেওয়া হয়েছে তাকে।

রাম রহিমের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা ধর্মের অভিযোগ অভিযোগ করার অভিযোগ ২০০৭ সালে। তার বিরুদ্ধে একটি প্রশ্ন হয়। যদিও ২০০৯ সালে হরিয়ানার সিরসা আদালত এবং ২০১৪ সালে ভাতিন্ডা প্রশ্নটি খারিজ করেন।

ধর্মগুরু সরাম রহিম নিজে একজন গায়ক, অভিনয়ও। এমএসজি: দ্য মেসেঞ্জার, এমএসজি২ দ্য মেসেঞ্জার, এমএসজি: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট কলকাতা ছবিও করেছেন গুরমিত। ভারতে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পান রাম রহিম। গোটা স্বভাবে এই রকম নিরাপত্তা পান মাত্র ৩৬ জন মানুষ।

উৎস লিঙ্ক