প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার বস্তি এবং শ্রাবস্তিতে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন, উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অংশে কম ভোটার উপস্থিতির খবরের মধ্যে, যেখানে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে, তিনি জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগ করার জন্য আবেদন করেছিলেন ভোট এবং ভোট না দিলেও যে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসবে তা ভাববেন না।
প্রধানমন্ত্রী মোদি জনগণকে তাদের ভোট নষ্ট না করতে বলেছেন এবং বলেছেন যে ভোট দেওয়া হল 'পুণ্য' (ভালো কাজ উপার্জন) অর্জনের মতো এবং তাই লোকেদের 'পুণ্য' অর্জনের সুযোগ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।
“চুনাভ বাদ কিসকি সরকার বনেগি… তোহ ভোট বরবাদ হন দেনা চাহিয়ে? (এই নির্বাচনের পরে, কার সরকার গঠিত হবে… তাই আপনার ভোট নষ্ট হতে দেওয়া উচিত)” প্রধানমন্ত্রী বস্তিবাসীর কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে মোদী সরকার গঠন হবে বলে অনেকেই ভোট দিতে পারেন না। “ম্যায় তো না জাউঙ্গা তো ভি চল যায়েগা, মোদীজি সরকার বান্না প্রকার হ্যায় (আমি ভোট না দিলে কিছু যায় আসে না কারণ মোদী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে)।”
প্রধানমন্ত্রী তখন জনতাকে বলেছিলেন যে তিনি একটি ভাল কাজ করবেন এবং যারা ভোট দেবেন তাদের “ভাল কাজ” দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। “ভোট দেনে ওয়ালোন কো কে পুণ্য জারুর পাহুঞ্চে ওয়ালা হ্যায়…ভোট কিজিয়ে। ভিক্সিত ভারত কে লিয়েতে, ভোট দিজিয়ে,” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন।
“ভারত এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি,” প্রধানমন্ত্রী যোগ করে বলেন, “বিশ্ব ভারতের কথা মনোযোগ সহকারে শুনছে এবং ভারত যখন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্ব তার সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করবে।”
শেবস্তিতে, প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস এবং সংসদের সাম্প্রতিক সমাবেশের উল্লেখ করেছেন। সাজওয়াদি দল এবং দাবি করেছেন যে এসপি এবং কংগ্রেস তাদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য এবং ভিড়ের অংশ হওয়ার জন্য লোকদের অর্থ প্রদান করে, কিন্তু যখন ভিড় পেমেন্ট পায় না, তখন তারা টাকা পেতে মঞ্চে উঠে। “এই পরিস্থিতিতে জড়িত ব্যক্তি কীভাবে আপনাকে সুবিধা পেতে সাহায্য করতে পারে?”
দায়িত্বে থাকা এসপি ব্যক্তিকে টার্গেট করুন অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীপ্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে “দুই ছেলের একটি দল” আবার একই চরিত্র নিয়ে একটি “ব্যর্থ চলচ্চিত্র” তৈরি করার চেষ্টা করেছে। “উত্তর প্রদেশের লোকেদের আর সিনেমা হলে আটকে রাখা উচিত নয়, টিভি বা লাইভ টিভি চালু করা উচিত নয়, চলচ্চিত্রের আর শুটিং নয়, আর সংলাপ নয়,” প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন।
“তারা দাবি করে যে তারা করবে উত্তর প্রদেশ”, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এই বিবৃতিটি তাকে উপলব্ধি করেছে যে একটি “দিবাস্বপ্ন” কী।
“4 জুন, উত্তর প্রদেশের মানুষ তাদের ঘুম থেকে জেগে উঠবে এবং তারপরে তারা (অখিলেশ এবং রাহুল) ইলেকট্রনিক ক্যামেরাকে দোষারোপ করতে পারে,” তিনি যোগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে এটা পরিহাসের বিষয় যে RIA “সংবিধান” নিয়ে কথা বলছে যখন কংগ্রেস পার্টি নিজেই প্রায় দুই বছর ধরে জরুরি অবস্থা জারি করে দলের সংবিধান রক্ষা করতে পারেনি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন যোগী আদিত্যনাথপ্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি উত্তরপ্রদেশকে অতল গহ্বর থেকে বের করে আনতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এসপি এবং কংগ্রেস এটি আবার ফিরিয়ে নেবে।
তিনি অযোধ্যার রাম মন্দিরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করার জন্য উভয় পক্ষকে নিন্দা করেছেন।
“হ্যাঁ রাম মন্দির পার বাবরি তালা লাগানে কা স্বপ্ন দেখা রহে হ্যায়। (তারা রাম মন্দিরে তালা লাগানোর স্বপ্ন দেখেছিল এবং রাম লালাকে তাঁবুতে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল), ” প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বজায় রেখেছিলেন যে এলাকাটি অযোধ্যার কাছে অবস্থিত এবং এটিকে 'রাম সার্কিট'-এর অংশ হিসাবে বিকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি পাকিস্তান সম্পর্কে বলেছেন, “যে দেশ একসময় আমাদের দিকে তাকাত, হুমকি দিত, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক ছিল, এখন তা তুচ্ছ হয়ে গেছে এবং এমনকি খাবারের জন্যও লড়াই করছে৷ কিন্তু এর সহানুভূতিশীল সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস এখন চেষ্টা করছে৷ ভারতে ভয় তৈরি করুন… তারা আমাদের সতর্ক করছে পাকিস্তানকে ভয় পাওয়ার জন্য কারণ তাদের কাছে পারমাণবিক বোমা রয়েছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতে এখন আর দুর্বল কংগ্রেস সরকার নেই, বরং শক্তিশালী মোদী সরকার রয়েছে। ভারত কাউকে ভয় দেখাতে চাইবে না, কাউকে তা সহ্য করবে না। এই কারণেই ভারত হুমকির কারণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়।”
