জরাজীর্ণ মাত্রায় সুচিত্রা সেনের বাড়ি

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী সুচিত্রা সেবনের পৈত্রিক বাড়ি ও অবহেলায় জিবনে পড়ে আছে। ২০১৪ সালের সপ্তাহে আশা প্রকাশের আদেশে বাড়িটি মুক্তি দেওয়ার পর থেকে এই অবস্থা।

অযত্নে পড়ে আছে পাবনায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি। ছবি:স্টার

“>

অযত্নে পড়ে আছে পাবনায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি। ছবি:স্টার

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী সুচিত্রা সেবনের পৈত্রিক বাড়ি ও অবহেলায় জিবনে পড়ে আছে। ২০১৪ সালের সপ্তাহে আশা প্রকাশের আদেশে বাড়িটি মুক্তি দেওয়ার পর থেকে এই অবস্থা।

মুক্তির আদেশে বলা হয়েছিল, পরিবারের পর বাড়িতে জাদুঘর করতে হবে। সর্বোচ্চ সুচিত্রা সেনের তিনটি বার্ষিকে উত্তরের দুইটি হতে পারে বাংলারা যখন তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন যে বাড়িটি অবহেলা ছাড়া তখন আর দেখতে দেখতে পাওয়া যাবে না।

সরেজমিন দেখা যায়, বাইরের অযত্নে ঘরের জায়গার জায়গা বড় ঘাস গজিয়েছে। বাড়ি বেশ ভালোভাবে ও জানাও উধাও হয়েছে। এছাড়াও আপনার পুরো জায়গাটিই ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় অভিযোগ, মাদকসেবীরা বাড়িঘর তাদের বেআইনি নাটকের ভিডিও আস্তানা হিসাবে প্রকাশ করেছেন।

১৯৩১ বৃহস্পতিবার বাড়িতে ৬ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে পানা আনন্দে দাকুচি শান্তি পার্টির জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা করুণাময় গুপ্তের বাড়ি বৈশিষ্ট্য গোপালপুরে। সেদিক থেকে গোপালপুরেই সুচিত্রা সেনের প্রথম নিবাস।

জন্মের পর তার নাম রাখা হয় রমা দাসগুপ্ত। কৈশোর পর্যন্ত ছোট জেলাশহরে থাকেন তিনি। সেখানে তার স্কুল জীবন কাটে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কয়েক মাস পর তার পরিবার কলকাতায় দেখা যায়। এখন এই বাড়িটি ছাড়া পাবনায় সুচিত্রা সেনের আর কোন চিহ্ন নেই বললেই চলে৷

এছাড়াও পড়ুন  কর্ণাটকের গাড়ির ভিতরে 3টি পোড়া মৃতদেহ পাওয়া গেছে, পুলিশকে দোষারোপ করেছে "গুপ্তধনের সন্ধান"

একই ও জয়ের জন্য তিন ধরে ধরে বাংগালীদের এই নির্বাচনে ভোটের দিন ১৭ জানুয়ারি ৮২ বছর পুরনো কলকাতার একটি হোমে হার্ট অ্যাট শব্দ মারা যান।

সুচিত্রা সেনের বাড়িমুক্ত করার আন্দোলনের সংঠকদের একজন নাট্য মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল। বাড়ির বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সুচিত্রা সেনের বাড়ি এমন অবহেলায় পড়ে আছে এটা হতাশাজনক৷

পাঁচে ইসলামি সমর্থিত প্রতিষ্ঠান ইমাম গাজালি ট্রাস্ট ১৯৮৭ সাল থেকে হোম ইমাম গাজালি ইনস্টিটিউটপ ব্যাপক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। সেখানে সুচিত্রার স্মৃতি সংরক্ষণে 'সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা' গড়ার নির্দেশ পরের বাড়িটি ছেড়ে দেয়।

মুক্তির আন্দোলনে বহিস্কার দেওয়া জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি পরিবার নির্দেশনা জাদুঘর তৈরি করে। বাড়িটির রক্ষণে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে পাবনার মানুষ আবারও বিক্ষুব্ধ হবেন।

এই ঐতিহাসিক দুর্দশার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক বাড়িকে দুষছেন পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা। তিনি বলেন, বাড়িটি সংস্কৃতি বিষয়ক পার্টির নেতা রয়েছে। আদালতের নির্দেশনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন নির্দেশনা দেয়।

জেলা প্রশাসন নিজে থেকে কিছু কাজ করে যোগ করেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা বলেছে যে, তাদের কাছ থেকে তাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলন এবং দীর্ঘমেয়াদী লড়াই চালাতে পর্যবসিত হতে হবে।

এই খবরের ইংরেজি সংস্করণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

উৎস লিঙ্ক