মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জ্যেষ্ঠ বিচারক নাজমুল হোসেন আমলী এ আদেশ দেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক এ কে ফজলুল হক।
প্রতিনিধি চিত্র।ছবি: সংগ্রহ
”>
প্রতিনিধি চিত্র।ছবি: সংগ্রহ
সম্প্রতি বান্দরবানে সশস্ত্র পাহাড়ি গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের দ্বারা ব্যাংক ডাকাতি, বন্দুক ছিনতাই এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫২ জনকে আজ (৯ এপ্রিল) কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জ্যেষ্ঠ বিচারক নাজমুল হোসেন আমলী এ আদেশ দেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক এ কে ফজলুল হক।
এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) আরও দুই অভিযুক্ত কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মহতুল হোসেন জন্টো সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও টেঞ্চিতে ব্যাংক ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধের দুটি মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
“বিবাদীরা একটি আবেদনে প্রবেশ না করায়, আদালত তাদের বিচারের জন্য সরাসরি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন,” তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, “ঈদের পর তাদের জামিনের আবেদন করব। তারপর জামিনের শুনানি হবে।”
গ্রেফতারকৃত আসামীরা কেএনএফ-এর সদস্য বলে পরিচিত কিনা জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তাদের রুমা ও টেনচির ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় পাঠানো হয়েছিল।
ঈদের পর নথি পর্যালোচনা করে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাউম সম্প্রদায়ের।
সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বান্দরবানে পৃথক দুটি অভিযানে ৫৩ সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করেছে।
পরে এক গর্ভবতীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যে একদল সশস্ত্র লোক হামলা চালায়।
থানচিতে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার একজন ব্যবস্থাপক অপহরণ ও ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। তারা ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা কেএনএফের সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কেএনএফ বিপুল মুক্তিপণ পরিশোধের পর অপহৃত ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়।
এরপর রোববার বান্দরবান থেকে কেএনএফ নির্মূল করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড যৌথ অভিযান শুরু করে।