370 মুভি রিভিউ: 370 একটি আকর্ষণীয় গল্প

370 পর্যালোচনা {3.5/5} এবং পর্যালোচনা রেটিং

পরিচালক: আদিত্য সুহাস জাম্বল

সারসংক্ষেপ:
ধারা 370 ইতিহাস পাল্টে দেওয়া দুই নারীর গল্প এটি। জুলাই 8, 2016, জুনি হাকসার (ইয়ামি গৌতম ধরগোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দা শাখা কাশ্মীরের কোকেরনাগে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বুরহান (শিবম খাজুরিয়া) লুকিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেছে। সে তার বড়, কাওয়ার আলী (রাজ অর্জুন) এর কাছ থেকে অনুমতি চায়, কিন্তু সে তাকে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেয়। জোনি তা না করা বেছে নেয় এবং CRPF অফিসার যশ চৌহান (বৈভব তাতওয়াদি) এবং তার দলের সহায়তায় অপারেশনটি সম্পাদন করে। বুরহানের হত্যাকাণ্ড কিছু রাজনৈতিক নেতাকে ক্ষুব্ধ করেছিল। তারা যুবকদের ক্ষুব্ধ করে, যার ফলে উপত্যকায় সহিংসতা শুরু হয়। আদেশ অমান্য করার জন্য গোয়েন্দা জোনিকে বরখাস্ত করেছে। তাকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল যেখানে তিনি বিষণ্নতায় পড়েছিলেন। এক বছর পর রাজেশ্বরী স্বামীনাথনপ্রিয়া মণি), প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিস (PMO) জোনির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাকে শ্রীনগরে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) এ একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। জুনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিল, কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা কোন সুনির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে নিয়ে যাবে না যতক্ষণ না ধারা 370 বিদ্যমান থাকবে। কাশ্মীরি পারভিনা আন্দ্রাবির (দিব্যা শেঠ শাহ) সাথে জোট কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ভেঙে দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির নিয়ম আরোপ করে, যাতে বিভিন্ন দলের নেতারা জোট গঠনের জন্য বাহিনীতে যোগ না দেয় তা নিশ্চিত করে। রাজেশ্বরী শীঘ্রই জুনির কাছে স্বীকার করেছেন যে কেন্দ্র 370 ধারা বাতিল করার পরিকল্পনা করেছে। তবে উপত্যকার শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের একটি আইনি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এরপর যা ঘটে তা সিনেমার বাকি অংশ তৈরি করে।

নং 370 সিনেমার গল্প পর্যালোচনা:
আদিত্য ধর এবং মোনাল ঠাকরের গল্পটি বাস্তব ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। সবাই জানে যে 370 ধারা বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু কীভাবে এটি কার্যকর হয়েছিল তা কেউ জানে না। আদিত্য ধর, আদিত্য সুহাস জাম্বেলে, অর্জুন ধাওয়ান এবং মোনাল থাকারের চিত্রনাট্য (অর্শ ভোরার অতিরিক্ত স্ক্রিপ্ট সহ) চিত্তাকর্ষক। লেখাটি জায়গায় একটু প্রযুক্তিগত হয়, কিন্তু লেখক কিছু মজার এবং উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত দিয়ে এটির জন্য তৈরি করেন। আদিত্য ধর, আদিত্য সুহাস জাম্বেলে, অর্জুন ধাওয়ান এবং মোনাল থাকারের সংলাপগুলি শক্তিশালী এবং প্রশংসার যোগ্য।

আদিত্য সুহাস জমবেলের পরিচালনা মন্ত্রমুগ্ধকর। ফিল্মটি 160 মিনিটের, কিন্তু এটি বিরক্তিকর বা দীর্ঘ মনে হয় না কারণ প্রতি মিনিটে অনেক কিছু ঘটছে৷ নির্মাতারা একটি গুরুতর এবং বাস্তবসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন যা ছবিটিতে একটি সুন্দর স্পর্শ দেয়। প্রথমার্ধটি আশানুরূপ ছিল না, তবে বিরতির পরে, মুভিটি আরও ভাল হয়েছে। জোনি যে দৃশ্যটি ইয়াকুব শেখ (সুমিত কৌর) কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জনগণের কাছে পছন্দ হবে। একটি আইনি নথি থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ। দুটি ট্র্যাক একই সাথে প্লে আউট, ক্লাইম্যাক্সের সাথে যা মজাদার এবং আকর্ষক উভয়ই।

অন্যদিকে, যদিও নির্মাতারা আখ্যানটিকে সহজ করার জন্য তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, কিছু বিবরণ পাঠোদ্ধার করা কঠিন হতে পারে। তাই যারা এটিকে ঐতিহ্যবাহী বিনোদন হিসেবে আশা করছেন তারা কিছুটা হতাশ হতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ফিল্মটি জায়গাগুলিতে একতরফা অনুভব করে এবং গল্পের সমস্ত উপাদানকে কভার করে না। উদাহরণস্বরূপ, কাশ্মীরের জনগণের কল্যাণের জন্য 370 ধারা বাতিল করা হয়েছিল। যাইহোক, সরপঞ্চের (মিধাত উল্লাহ খান) সাথে দৃশ্য বাদ দিয়ে, চলচ্চিত্রটি কখনই আমু জান্তা এবং তাদের কষ্টের উপর ফোকাস করে না। অবশেষে, ক্লাইম্যাক্টিক হত্যা প্রচেষ্টা উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু এটি সত্যিই ঘটেছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করে।

আর্টিকেল 370 | ইয়ামি গৌতম ধর জিও স্টুডিওস |

আর্টিকেল 370 ফিল্ম পারফরম্যান্স:
ইয়ামি গৌতম ধর আবারও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদান করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল তার সবচেয়ে সফল অভিনয়। তিনি অ্যাকশন এবং জিজ্ঞাসাবাদের দৃশ্যে খুব বিশ্বাসী, কিন্তু আবেগপূর্ণ দৃশ্যে তার সাথে সতর্ক থাকুন। প্রথমার্ধে তিনি যেভাবে তার একক গান পরিবেশন করেন তা গুজবাম্প দেয়। প্রিয়া মণির আচরণ অত্যন্ত সংযত এবং ভূমিকার জন্য উপযুক্ত, যা তাকে ভূমিকার জন্য নিখুঁত করে তোলে। বৈভব তাতওয়াদি খুবই পছন্দনীয়। রাজ অর্জুন এবং স্কন্দ ঠাকুর (ওয়াসিম আব্বাসি) দৃঢ় সমর্থন প্রদান করেন। সুমিত কৌল, সালাহউদ্দিন জালাল (রাজ জুটশি) এবং রাজীব কুমার (শমসের আবদালি) বিশাল চিহ্ন রেখে গেছেন। দিব্যা শেঠ শাহ এবং ইরাবতী হর্ষে মায়াদেব (বৃন্দা কৌর) দুজনেই ভালো। কিরণ কর্মকার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) চমৎকার এবং সিনেমার বিনোদনকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। অসিত রেডিজ (বিরোধীদলীয় নেতা রোহিত থাপার)ও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। অরুণ গোভিল (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক আছে কিন্তু মনে হচ্ছে তিনি খুব বেশি চেষ্টা করছেন। জন্যা খন্দপুর (সাবিয়া), মিদ্দত উল্লাহ খান, মোহন আগাশে (জগমোহন পাতিল) এবং অশ্বিনী কৌল (জাকির নাইকু) সবাই সুন্দর।

অনুচ্ছেদ 370: চলচ্চিত্র সঙ্গীত এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিক:
শাশ্বত সচদেবের সঙ্গীত নিবন্ধন করা যাবে না। আদর্শভাবে, ARTICLE 370 একটি গানহীন চলচ্চিত্র হতো। কিন্তু শাশ্বত সচদেবের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ এবং সাধারণ বিজিএম থেকে খুব আলাদা।

অ্যাকশন দৃশ্যের সিদ্ধার্থ ভাসানির সিনেমাটোগ্রাফি অত্যাশ্চর্য এবং সহজ। সুজিত সুভাষ সাওয়ান্ত এবং শ্রীরাম কানন আয়েঙ্গার প্রযোজনা নকশা সমৃদ্ধ। Veera Kapur Ee-এর পোশাক বাস্তবসম্মত এবং আড়ম্বরপূর্ণ। পারভেজ শেখের কর্মকাণ্ডে রক্তাক্ত কিছু নেই। আইডেন্টিক্যাল ব্রেইনের ভিজ্যুয়াল এফেক্টগুলি পাসযোগ্য। শিবকুমার ভি পানিকারের সম্পাদনা মসৃণ।

আর্টিকেল 370 মুভির উপসংহার:
সামগ্রিকভাবে, 370 অনুচ্ছেদ একটি আকর্ষণীয় গল্প যা ভারতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে একটি মজার এবং সহজ উপায়ে চিত্রিত করার চেষ্টা করে। বক্স অফিস পারফরম্যান্সের দিক থেকে, ছবিটি এবং ট্রেলার অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। তাছাড়া ছবিটি মুক্তির দিন টিকিটের মূল্য মাত্র ৫০ টাকা। 99. সুতরাং, যতক্ষণ এটির মুখের কথা ভাল থাকবে, ততক্ষণ এটি একটি শক্তিশালী মুক্তি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বক্স অফিসে সফল হবে৷