দিল্লিতে, দলটি তার ছয়জন বর্তমান সাংসদকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং মাত্র একজনকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
নতুন দিল্লি:
বিজেপি এখন পর্যন্ত যে দুটি তালিকা প্রকাশ করেছে, দলটি লোকসভা নির্বাচনের জন্য 267 জন প্রার্থীর নাম দিয়েছে এবং প্রায় 21% বর্তমান সাংসদ ইতিমধ্যেই তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে পুনরাবৃত্তি হয়নি। সূত্র জানায়, কৌশলটি সম্ভাব্য অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এবং দলটি স্থল থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে দলের নিজস্ব 370টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রার কারণে প্রার্থীদের পছন্দও গুরুত্বপূর্ণ, যা 2019 সালের তুলনায় 67টি বেশি আসন পেতে বাধ্য হবে।
2 মার্চ প্রকাশিত প্রথম তালিকায় প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ মাত্র 33 জন সাংসদকে দেখা গেছে। রমেশ বিধুরী এবং পারভেশ ভার্মা- 195 প্রার্থীর নাম থাকা সত্ত্বেও বদলি করা হচ্ছে, বুধবারের 72 জনের নামের তালিকায় 30 জন সাংসদকে দরজা দেখানো হয়েছে।
দুটি তালিকায় ২৬৭টি নামের মধ্যে বারবার বর্তমান সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেশি, ১৪০ জন, আর ৬৭ জন এমপিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এই দুই সাংসদ, গৌতম গম্ভীর সহ – যিনি পূর্ব দিল্লিতে হর্ষ মালহোত্রার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন – প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সংখ্যার খেলা
দ্বিতীয় তালিকায়, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে 20টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে, গুজরাট থেকে সাতটি, তেলেঙ্গানা এবং হরিয়ানার ছয়টি, মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ থেকে দুটি করে এবং দাদরা ও নগর হাভেলি থেকে একটি করে নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
দিল্লিতে, বিজেপি তার ছয়জন বর্তমান সাংসদকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং শুধুমাত্র একজন মনোজ তিওয়ারিকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় তালিকায় কর্ণাটকের জন্য ঘোষিত 20 জন প্রার্থীর মধ্যে 11 জন সাংসদকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে এবং মাত্র আটজনকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের গল্প বিপরীত, 14 জন সাংসদ পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং মাত্র পাঁচজনের টিকিট বাতিল করা হয়েছে। সাংসদদের পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে নাগপুর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি, যেখানে প্রীতম মুন্ডে তার বোন পঙ্কজা মুন্ডেকে বিড থেকে প্রতিস্থাপন করেছেন।
গুজরাটের জন্য, দ্বিতীয় তালিকায়, সাতজন বর্তমান সাংসদের মধ্যে মাত্র তিনজন বারবার এসেছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দর্শনা জারদোশ, যিনি মুকেশ দালালের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
দ্বিতীয় তালিকায় হরিয়ানায় ঘোষিত ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বর্তমান সাংসদকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে এবং দুজনকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য মারা যাওয়া একটি আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানা, যেখানে বিজেপি গতবার মাত্র চারটি আসন জিতেছিল, সেখানে একজন সাংসদকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে এবং একটি টিকিট বাতিল করা হয়েছে।
দ্বিতীয় তালিকায় ঘোষিত মধ্যপ্রদেশের পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে দু'জন সাংসদ বারবার এবং দুজন বাদ পড়েছেন। একটি নতুন প্রার্থী, বিবেক সাহু, ছিন্দওয়াড়া আসনে নকুল নাথের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন, যেটি 2019 সালে রাজ্যে বিজেপির একমাত্র আসন ছিল।
দ্বিতীয় তালিকায় হিমাচলের নাম থাকা উভয় সাংসদই আবার টিকিট পাচ্ছেন – হামিরপুর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ – এবং উত্তরাখণ্ড থেকে দুজনকেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
ত্রিপুরা দেখেছে একজন সাংসদকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যখন দাদরা এবং নগর হাভেলির সাংসদ, যিনি শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর সাথে ছিলেন, তিনি এখন বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
