ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হাসপাতাল থেকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আইনজীবী মমিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার খুলনার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিচারক দিলরুবা সুলতানা দুমুকে বলেন, রিয়া পুলিশ বিভাগ অভিযোগটি ‘এজহার’ হিসেবে রেকর্ড করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রুদাহরা ইউনিয়ন ডায়োসিসের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আব্দুল হক, আল আমিন গাজী আল আমিন গাজী, আকতারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও ইমরান হোসেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ ওই ছাত্রীকে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে’ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
গত ৭ জানুয়ারি এজাজ ওই ছাত্রীকে তার শাহপুর অফিসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে, তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং অভিযোগটি আরও পড়ে।
পরে মেয়েটি তার চাচাতো ভাইয়ের সহায়তায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যায়।
অভিযুক্ত তৌহিদুজ্জামান ১০-১৫ জনকে নিয়ে একটি মিনিবাসে উঠে তাকে ও তার মাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা মেয়ে ও তার মাকে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায় এবং তাদের অপহরণ করা হয়নি বলে প্রমাণ দিতে বাধ্য করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ডুমুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।