খৎনা করার সময় জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারের কারণে আরও একটি শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ। এবার তা ছিল ঢাকার মারিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন সেন্টারে।

আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।

শিশুটির মৃত্যুর পর তার বাবা হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ করেন।

পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং হাসপাতালের দুই চিকিৎসক এসএম মুক্তাদির ও মাহবুবকে গ্রেপ্তার করে।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “খৎনা করানোর সময় যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তার বাবা ডা. এস এম মুক্তাদিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এবং অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি যোগ করেছেন: “এই ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মাইনুল আহসান বলেন, হাসপাতালটি পরিদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডাঃ এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে অর্ণবের বাবা-মা তাকে খতনার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ৮টার দিকে অর্ণবকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর জানা গেল অর্ণব মারা গেছেন।

অর্ণবের বাবা ফখরুল আলম বলেন, “আমি বিশেষভাবে ডাক্তারদের জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমার সতর্কতা সত্ত্বেও, ডাক্তার মুক্তাদির এগিয়ে গিয়ে জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া দেন। অ্যানেস্থেসিয়ার পরও অর্ণবের জ্ঞান ফেরেনি।”

“কেন খৎনার জন্য সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়ার প্রয়োজন হয়? এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করার আগে একটি ছেলে মারা গিয়েছিল। তাই আমি ডাক্তারের পায়ে অবাক হয়েছিলাম এবং তাকে সাধারণ অ্যানেস্থেসিয়া না করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমার আবেদনকে উপেক্ষা করেছিলেন,” শোকের বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার ঠাকুর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পূর্ণ অ্যানেসথেসিয়ায় খৎনা করানোর পর অয়ন নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ দাবি করেন, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার অবহেলার কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়।





Source link