গত মাসের মাঝামাঝি গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। তবে প্রতিবেশী ও দুর্বল দেশগুলোয় সরকারিভাবে গম রপ্তানি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। এরপর গম রপ্তানিতে লাগাম টেনেছে দেশটি। নিষেধাজ্ঞার পর ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২০২ টন গম রপ্তানি করেছে ভারত। কিন্তু এখন ভারতের বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়ে আছে অন্তত ১৭ লাখ টন গম। বর্ষা শুরু হওয়ায় এসব গম এখন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে। সরকারি ও এ খাত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২০২ টন গম রপ্তানি হয়েছে। এসব গমের বেশির ভাগ রপ্তানি হয়েছে মূলত বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, তানজানিয়া ও মালয়েশিয়ায়। নিষেধাজ্ঞার পর ভারত থেকে মোট গম রপ্তানির হিসাবও তিনিই দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গত এপ্রিলে গম রপ্তানির রেকর্ড করেছিল ভারত। ওই মাসে ভারত থেকে মোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন গম রপ্তানি হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেওয়া পর গত মে মাসে ভারতের গম রপ্তানি কমেছে। এ মাসে ভারত মোট ১১ লাখ ৩০ হাজার টন গম রপ্তানি করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত ১৪ মে গম রপ্তানিতে সাধারণ একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়। তীব্র দাবদাহের কারণে ভারতে এবার গমের উৎপাদন কম হয়েছে। ব্যাপক রপ্তানি-চাহিদার মধ্যে স্থানীয় বাজারে গমের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন থেকেই তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। তবে ইতিমধ্যে গম রপ্তানির জন্য যাদের ঋণপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে গম রপ্তানি করার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব দেশ খাদ্য নিরাপত্তার কথা জানিয়ে গম সরবরাহের অনুরোধ করে, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকে।