সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপে শব্দের বিকল্প হিসেবে ইমোজি ব্যবহার করেন অনেকেই। নানা রং ও ছবি দিয়ে তৈরি এসব ইমোজির মাধ্যমে সহজে মনের ভাব প্রকাশের সুযোগ মেলায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপে ভালোবাসার ইমোজি পাঠানোর কারণে জেল-জরিমানা হতে পারে সৌদি আরবে। শুনতে অবাক লাগলেও, এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ আল মোয়াতাজ কুতবি।

সৌদি আরবের অ্যান্টি ফ্রড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আল মোয়াতাজ কুতবি জানান, কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে অনলাইনে বিনিময় করা ছবি বা অভিব্যক্তিও হয়রানিমূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপে ভালোবাসার ইমোজি পাঠানোর পর প্রাপক যদি অভিযোগ করেন, তবে ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত জেল বা ১ লাখ সৌদি রিয়েল জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধ আবার করলে ৫ বছর জেল বা ৩ লাখ সৌদি রিয়েল জরিমানা হবে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ভালোবাসার ইমোজি বিনিময়ের সময় সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

ভালোবাসার ইমোজি প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ থেকেই পাঠানো যায়, তাহলে কেন শুধু হোয়াটসঅ্যাপের নাম উল্লেখ করলেন আল মোয়াতাজ কুতবি। কারণ আর কিছুই নয়, সাধারণের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে অ্যানিমেশন করা ইমোজি রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ভালোবাসার ইমোজি কাউকে পাঠালেই সেটি প্রাপকের ইনবক্সে হৃৎপিণ্ডের মতো নড়তে থাকে, যা অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

সৌদি আরবের হয়রানিবিরোধী নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বিবৃতি, কাজ বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে যৌন ইঙ্গিত, স্পর্শ করা, সম্মানহানি বা শালীনতা লঙ্ঘন করাকে হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশটির সমাজের রীতি অনুযায়ী, ভালোবাসার ইমোজি বিনিময় বিপদের কারণ হতে পারে।

এছাড়াও পড়ুন  পিএসজির আশা গুঁও উড়ে বরুশিয়া ডর্টম টুন্ড

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here