আইএমএফের কথা মেনে সংকলন তৈরির জন্য মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলোর কাছে সম্পদ ও দায়ের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য–উপাত্ত বা প্রতিবেদন চাওয়া থেকে বিরত থাকতে দেড় মাস আগে যে অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), তার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৯ ডিসেম্বর বিএসইসিকে চিঠি দিয়ে বলেছে, তথ্য নিয়ে সংস্থাটি কোনো তদারকমূলক কাজ করবে না, কোনো একক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণকাজেও ব্যবহার করবে না। তথ্যগুলো বরং সামগ্রিক সংকলন আকারে ব্যবহৃত হবে। দেশের আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় ও সম্পদের সামগ্রিক প্রকৃত চিত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য এসব তথ্য–উপাত্ত সুলভ হওয়া অপরিহার্য বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজার–বিষয়ক তথ্যের সংবেদনশীলতা নিয়ে বিএসইসির উদ্বিগ্নতার বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তারা বলেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকও অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে যথাযথ গোপনীয়তা বজায় রেখেই কাজ করে থাকে। পুঁজিবাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট) কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে গত ১০ নভেম্বর তাদের সম্পদ ও দায়ের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্পদ ও দায়ের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সম্পদ-দায়ের তথ্যও চাওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ মেনে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজটি করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করে।

এ ঘটনা জেনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় বিএসইসি এবং গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে এভাবে তথ্য চাওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায়।

এছাড়াও পড়ুন  অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যয় 16% কমেছে কিন্তু আমদানি নির্ভরতা একটি নতুন উচ্চে পৌঁছেছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here