স্বাস্থ্য তথ্য ডেস্ক:


অবশ্য মধুর অনেক গুণ রয়েছে। এটি অনেক রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া শীতকালে মধু শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু নিজেই একটি খাদ্য যা ভাল শক্তি প্রদান করে। এটি শরীরে তাপ ও ​​শক্তি প্রদান করে উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। তাই মধু খেলে শীতে ঠান্ডা লাগবে না।


চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে মধু পানের উপকারিতা-


  1. শীতকালে মানুষ সর্দি-কাশিতে বেশি আক্রান্ত হয়। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির ঝুঁকি কমে যায়। আর যারা দীর্ঘদিন ধরে হুপিং কাশিতে ভুগছেন তারা প্রতিদিন এক চা চামচ মধুর সাথে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে পান করলে রোগ দ্রুত সেরে যাবে। তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়া উচিত নয়।
  2. শীতকালে পোড়া এবং কাটা সহজে নিরাময় করা যায় না। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ক্ষত, পোড়া এবং কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। পোড়া বা কেটে গেলে ক্ষতস্থানে মধুর পাতলা স্তর লাগান। ব্যথা কমবে এবং নিরাময় দ্রুত হবে।
  3. শীতকালে পিঠা পায়েস সহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেকেই হজমের সমস্যার সম্মুখীন হন। এক গ্লাস গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি ভালো হয়।
  4. ঠাণ্ডার কারণে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই মিষ্টি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুর্দান্ত। কেউ যদি প্রতিদিন চা বা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করেন, তাহলে তারা উপকার পাবেন।
  5. শীতকাল ত্বকের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা ত্বককে দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। আপনার যদি ত্বকের অবস্থা থাকে তবে নিয়মিতভাবে আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চা চামচ মধুর সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগান।
  6. শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগালে ঠোঁটের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে ঠোঁট নরম থাকে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।




 







কপিরাইট © সান নিউজ 24×7



Source link